শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক । এ সময় অনেকের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়। টনসিল বাড়লে ঢোক গিলতে গেলে কষ্ট হয়।
এছাড়াও মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয় এই টনসিল। তাই টনসিল আক্রান্ত হলে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে, বাড়ে অন্যান্য অসুখের ভয়ও।
টনসিলের সংক্রমণকে মেডিকেলের পরিভাষায় টনসিলাইটিস বলা হয়। টনসিলাইটিস যে শুধু শিশুদের হয়, তা নয়। এটি শিশুদের বেশি হলেও যে কোনো বয়সেই হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানান, টনসিলাইটিস ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল দুই ধরনের হয়। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিস হলে গরম পানি ও গরম খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়াও, গ্রিন টি ও স্যুপও খাওয়া যেতে পারে। একইভাবে ঠান্ডা লাগারও দুইরকম ধরণ আছে।
সাধারণ ঠান্ডা আর অ্যালার্জির জন্য ঠান্ডা লাগার মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা এক থেকে ১০ দিন মতো থাকে। অন্যদিকে অ্যালার্জেনের চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত অ্যালার্জির ঠান্ডা লাগা কমে না। এর জন্য চিকিৎসক অনেক সময় নাসাল স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
পাশাপাশি গার্গল করে গলার থেকে কফ দূর করার পরামর্শও দেয়া হয়ে থাকে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে স্টিমুলেশন ব্যবহারের পরেও নাক থেকে পানি পড়ে। এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, হঠাৎ করে গরম বা ঠান্ডা পরলে মানুষের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আক্রান্ত হয়, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতেই আরও সুবিধা পায় বিভিন্ন জীবাণু।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো গড়ে তুলতে পারলেই সাইনাস বা টনসিলাইটিসে সহজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।